উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের অ্যাওয়ার্ড নাইটে এবার জয়জয়কার চেলসির। সেই আমেজ তারা ছড়িয়েছে মাঠেও। ১০ জনের দল নিয়ে তারা রুখে দিয়েছে শক্তিশালী লিভারপুলকে। অ্যানফিল্ডে শনিবার প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের মুখোমুখি হয়েছে চেলসি। ম্যাচের লিড নিয়েছিল চেলসিই। কাই হাভার্টজের গোলে এগিয়ে যায় তারা। তবে পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরান মোহামেদ সালাহ। রেফারির শেষ বাঁশিতে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুদলকে।

অবশ্য দশম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত লিভারপুল। ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ক্রস ভালো পজিশনে পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইংলিশ মিডফিল্ডার জর্ডান হেন্ডারসন। কিন্তু ২২তম মিনিটে নিজেদের প্রথম সুযোগই কাজে লাগায় চেলসি। জেমসের কর্নারে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান জার্মান মিডফিল্ডার হাভার্টজ। ৩৭তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করে লিভারপুল। সাদিও মানের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে উড়িয়ে মারেন এলিয়ট। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে জোয়েল মাতিপের হেড ক্রসবারে লাগার পর সাদিও মানের প্রচেষ্টায় গোললাইন থেকে বল ফেরান জেমস। কিন্তু বল চেলসি ডিফেন্ডারের হাতে লাগে।

ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, আর ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবলের শাস্তিতে জেমসকে সরাসরি দেখান লালকার্ড। দশজনের দলে পরিণত হয় চেলসি। আর সফল স্পটকিকে চেলসির জালে বল জড়িয়ে দেন মোহামেদ সালাহ। গোলের পর ঘটে আরেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুদলের কয়েকজন খেলোয়াড়। হলুদকার্ড দেখেন চেলসি গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি। দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় একজন কম নিয়েই খেলেছে চেলসি। সেই সুযোগে প্রথম থেকে চেপে ধরলেও চেলসির জালে আর বল জড়াতে পারেনি অলরেডরা।

এর কৃতিত্ব অবশ্য চেলসি গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদির ৫১তম মিনিটে সালাহর ক্রসে ডি-বক্সে দিয়োগো জটার হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। পরের মিনিটে ভার্জিল ফন ডাইকের নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান চেলসি গোলরক্ষক। ৫৯ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফাবিনিয়োর শটও দারুণ দক্ষতায় ফেরান তিনি। ৮২তম মিনিটে সালাহর দুর্বল শট সহজে ঠেকিয়ে দেন মঁদি। রেফারির শেষ বাঁশিতে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুদল। এ ফলের পর তিন ম্যাচে দুই জয় ও একটি করে ড্রয়ে প্রথম চার দলের পয়েন্ট সমান ৭। গোলের ব্যবধানে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড শীর্ষে, চেলসি দুইয়ে, লিভারপুল তিনে ও এভারটন চারে আছে।